আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এত সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বসতঘর। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সোমবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিনষা বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি এ বাড়িতে থাকিনা। আমার শ্যালিকা তার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে থাকে। আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি আসি। এসে দেখি ঘরে থাকা ফ্রিজ, আলমারি, গয়না, নগদ টাকা, সকল জিনিসপত্রসহ সম্পূর্ণ ঘর পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, বাড়ির আশে-পাশে রাতের বেলায় অনেক বখাটে ছেলে আড্ডা দেয়। তাদেরকে অনেকবার আমি ও আমার শ্যালিকা বাঁধা দিয়েছি। সন্দেহ হচ্ছে হয়তো সে কারণেই কেউ শত্রুতা বসত এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ ব্যপারে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।’ গিয়াস উদ্দিনের শ্যালিকা পারভীন আক্তার বলেন, ‘বাড়িতে যখন আগুন লেগেছে, তখন আমি বাসায় ছিলাম না। শাশুড়ির অসুস্থতার খবর পেয়ে কয়েকদিন আগে শশুর বাড়িতে চলে যাই। ঘরে বিদ্যুৎ-সংযোগও বন্ধ ছিল। কিভাবে আগুন লেগেছে বুঝতে পারছিনা।’ক্ষতিগ্রস্থ পারভিন আক্তারের ভাই রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কাছাকাছিই। রাত ১০টার দিকেও আমি বাড়ি ঘর দেখে গেছি। কোন সমস্যা দেখিনি। শত্রুতা বসত কেউ এ কাজ করতে পারে।’
প্রতিবেশী মোতালেব মিয়া বলেন, ‘রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন দেখে এলাকাবাসীকে ডাকতে থাকি। পরে এলাকাবাসীসহ আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। আগুন বেশি থাকায় কাছে যেতে পারিনি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার নুরুল হুদা নয়ন বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’